সাভার- প্রতিনিধি:
ঢাকার সাভারে কর্মস্থল থেকে রাতে ফেরার পথে এক নারী শ্রমিককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আটকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর দুই সহকর্মীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, ভুক্তভোগীর সহকর্মী সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার দেলুয়া মধ্যপাড়ার শামীম হোসেনের ছেলে তারেক রহমান (২১) ও নড়াইলের কালিয়া থানার ফিরোজ কাজীর ছেলে মো. রাব্বি (২০)। অপরজন অমিত হাসান (২২) বাকী দুজনের পরিচিত। তারা সকলেই হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাতেই এঘটনায় মামলা ও তিনজনকে গ্রেপ্তারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২২ জুন হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী পশ্চিম পাড়া এলাকায় কামাল হোসেনের বাড়িতে আটকে রেখে ওই পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী এলাকার জোন বিডি গার্মেন্টের শ্রমিক। তারেক রহমান ও রাব্বি ভুক্তভোগীর সহকর্মী। গত ২২ জুন রাতের পালার কাজ শেষে ভুক্তভোগী ওই শ্রমিক হেটে বাসায় ফিরছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই জয়নাবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকায় পৌঁছতে ওত পেতে থাকা সহকর্মী তারেক ও রাব্বি ওই শ্রমিককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পাশেই কামাল হোসেনের বাড়িতে রাব্বির ভাড়া বাসার কক্ষে ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে সহকর্মী তারেক। তখন রাব্বি দরজার বাইরে থেকে পাহাড়া দিচ্ছিলো। কিছুক্ষণ পরেই তারেক ও রাব্বির পরিচিত অমিত হাসান নামে এক যুবক সেখানে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তারেক ও রাব্বি দরজার বাইরে পাহাড়া দিচ্ছিলো। পরে ভুক্তভোগী তাদের কাছে অনুরোধ -বিনয় করলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর বাসায় এসে ভুক্তভোগী তার মায়ের কাছে সব কিছু বললে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার ভুক্তভোগীর মা তার মেয়েকে গণধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি পরবর্তীতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রাতেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাদের ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে। একই সাথে ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।